মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন
স্পোর্টস রিপোর্টার, ই-কণ্ঠ টোয়েন্টিফোর ডটকম ॥ এবারও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে তাও পাঁচদিনে খেলা গড়িয়েছিল। ৩৩২ রানের বড় ব্যবধানে হেরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়ে গেল মুমিনুলরা। দক্ষিণ আফ্রিকা তুলনামুলক কম শক্তির দল নিয়েও বাংলাদেশকে পাত্তাই দিল না।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনেই নিশ্চিত হারের মুখে পড়ে যায়। হাতে থাকা দুইদিনে জিততে ৩৮৬ রান লাগে। কিন্তু উইকেট থাকে ৭টি। তৃতীয় দিনেই দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে। রান করে ২৭। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে ৪৫৩ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান করে ইনিংস ঘোষনা করে। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ২১৭ রানে গুটিয়ে যেতেই ৪১৩ রানের লক্ষ্য দাড় হয়। তখনই মনে হয় এই টেস্ট সিরিজ হার কোনভাবেই ঠেকাতে পারবেনা বাংলাদেশ। এরআগে যে কখনোই ২১৫ রানের বেশি লক্ষ্য নিয়ে জিততে পারেনি বাংলাদেশ।
সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে এবার প্রথম টেস্টে যে ২২০ রানে হেরেছিল, সেই হারকেও ছাপিয়ে যায় বাংলাদেশ। চতুর্থদিন এক সেশনও ঠিকমত খেলতে পারেনি। ৮০ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের সাথে চতুর্থদিন আর ৫৩ রান করতেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। হারায় আরও ৭ উইকেট। লিটন কুমার দাস ২৭ ও মেহেদি হাসান মিরাজ ২০ রান করতে পারেন। আর শুধু তামিম (১৩) দুই অংকের ঘরে পৌঁছাতে পারেন।
মহারাজ ৭টি ও হারমার ৩টি উইকেট শিকার করে নেন। এবার দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩.৩ ওভার খেলতে পারে বাংলাদেশ। এবার মহারাজ ১২ ও হারমার ১১.৩ ওভার বোলিং করেন। চতুর্থদিন ১৪.২ ওভারের বেশি ব্যাটিং করতে পারেনি বাংলাদেশ। কী বেহাল দশা হয়েছে। মহারাজ প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে ৮৪ রান করার পর দুই ইনিংসে ৯ উইকেট (২ ও ৭ উইকেট) নিয়ে ম্যাচ সেরা হন। আর প্রথম টেস্টেও দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন। দুই টেস্টেই ম্যাচ সেরা হয়ে সিরিজ সেরা হন মহারাজ।
প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ৫৩ রানেই অলআউট হয়েছিল। এবারও ভরাডুবি হয়। প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে দুই স্পিনার কেশভ মহারাজ (১০ ওভার) ও সাইমন হারমার (৯ ওভার) মিলে ১৯ ওভার বোলিং করেছিলেন। মহারাজ ৭টি ও হারমার ৩টি উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে অলআউট করে দিয়েছিলেন। এবারও তাই হল।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের কী করুণ দশা হয়েছে, তা তাদের স্কোর দেখলেই বোঝা যায়। স্পিন বোলিং খেলতেই পারেননি বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা। মাহমুদুল হাসান জয় (০), নাজমুল হোসেন শান্ত (৭), তামিম ইকবাল (১৩), মুশফিকুর রহিম (১), মুমিনুল হক (৫), ইয়াসির আলী রাব্বি (০), লিটন কুমার দাস (২৭), মেহেদি হাসান মিরাজ (২০), খালেদ আহমেদ (০), তাইজুল ইসলাম (০), এবাদত হোসেনদের (০*) অবস্থা কতটা বেগতিক হয়েছে। দুই টেস্টেই মহারাজ আর হারমারেই সব শেষ হয়ে গেছে।